সমস্ত সেবা
আমাদের সেবাসমূহ দেখুন
হিজামা (কাপিং থেরাপি)
হিজামা হলো একটি প্রাচীন সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা, যেখানে শরীর থেকে জমে থাকা দূষিত রক্ত ও টক্সিন বের করে দেওয়া হয়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, ব্যথা কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হিজামা মানসিক প্রশান্তি অর্জনেও সহায়তা করে। আমাদের সেন্টারে প্রশিক্ষিত ও সার্টিফাইড থেরাপিস্টরা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদভাবে হিজামা সেবা প্রদান করে থাকেন।
রুকইয়াহ (আধ্যাত্মিক আরোগ্য)
রুকইয়াহ হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীর ও আত্মার রোগ নিরাময়ে কোরআনের আয়াত ও প্রামাণিক দোয়া ব্যবহার করা হয়। আমাদের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা আগে সমস্যার ধরন বোঝেন, এরপর আল্লাহর বাণীর মাধ্যমে রুকইয়াহ প্রয়োগ করেন। আলহামদুলিল্লাহ, এই চিকিৎসা জ্বিনের প্রভাব, জাদু (সিহর), হিংসা (হাসাদ) এবং মানসিক অশান্তি দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস
আমাদের রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস সেবা ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো সনাক্ত করে এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক থেরাপির পরামর্শ দেয়। এটি মানসিক শান্তি প্রদান করে, নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করে।
হিজামা সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর
এখানে আপনি হিজামা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আরও জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
আস-সুন্নাহ একটি ইসলামিক হেলথ ও থেরাপি সেন্টার। এখানে আমরা হিজামা, রুকইয়াহ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামের নির্দেশনা মেনে, আধুনিক স্বাস্থ্যচর্চার সাথে মিল রেখে আপনাকে নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা দেওয়া। আমরা চাই, আপনি শুধু রোগমুক্তই নন, বরং প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনযাপন করুন—সুন্নাহর আলোকে।
হিজামা একটি সুন্নাহভিত্তিক থেরাপি যেখানে বিশেষ কাপ ব্যবহার করে শরীরের জমে থাকা ও দূষিত রক্ত বের করা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, ব্যথা উপশম করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হিজামার আগে অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তবে সামান্য পরিমাণে পানি পান করা যেতে পারে। সেশনের দিনে অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়া এবং কষ্টকর শারীরিক কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।
হিজামা মাথাব্যথা, কোমর ও জয়েন্টের ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, অ্যালার্জি, স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস (সহায়ক থেরাপি হিসেবে), মানসিক চাপ, অনিদ্রা এবং আরও অনেক সমস্যায় উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।
আমাদের সেন্টারে হিজামা সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ও একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ ব্যবহার করে। অভিজ্ঞ ও সার্টিফায়েড থেরাপিস্টরা চিকিৎসা প্রদান করেন।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হিজরি মাসের ১৭, ১৯ এবং ২১ তারিখে হিজামা করার সুপারিশ করা হয়। তবে চিকিৎসাগত প্রয়োজনে যেকোনো সময় হিজামা করা যেতে পারে।
আমাদের সেন্টারে খরচ নির্ভর করে চিকিৎসার ধরণের উপর। প্রথমে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রভাবিত পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়, তারপর সেই অনুযায়ী খরচ নির্ধারণ করা হয়। আমরা নির্দিষ্ট প্যাকেজও প্রদান করি।
গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম অনুসরণ করি। রোগীদের অন্তত ১ দিন আগে বুক করতে হয়। ফোনে বা ওয়েবসাইটের অনলাইন বুকিং ফর্ম পূরণের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়।
সেশনের আগে ৩–৪ ঘণ্টা খাবার খাবেন না, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীর যেন বেশি ক্লান্ত বা ঘেমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
২৪ ঘণ্টা ভারী কাজ বা ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, অন্তত ২–৩ ঘণ্টা গোসল করবেন না, হালকা ও সুষম খাবার খান এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।
গুরুতর হৃদরোগী (ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া), রক্তক্ষরণজনিত রোগী, অত্যন্ত দুর্বল বা অপুষ্ট রোগী, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে, এবং জ্বর, সংক্রমণ বা অস্ত্রোপচারের পরপরই হিজামা এড়ানো উচিত।
সাধারণত সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১–৩ মাস অন্তর হিজামা করা যেতে পারে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে, এবং থেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
হিজামা সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ, তবে কেবলমাত্র অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের মাধ্যমে শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনা করে করা উচিত।
ত্বকে হালকা লালচে ভাব বা সাকশন দাগ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে চলে যায়। সঠিকভাবে করা হলে হিজামার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।