Loading
লো চ্ছে . . .

আমাদের সম্পর্কে

  • হোম
  • আমাদের সম্পর্কে
আমাদের মূল মূল্যবোধ

আমাদের সেবার মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ

বিশ্বস্ত রাকী

সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা

প্রফেশনাল পরিবেশ

১০,০০০+ সেবা প্রাপ্ত

শান্তি ও নিরাপত্তা

আমাদের সম্পর্কে

সুন্নাহভিত্তিক থেরাপি: শরীর ও আত্মার পূর্ণাঙ্গ আরোগ্য

About

কোরআন অডিও শুনুন

50হাজার+

রোগী ও অনুসারীদের লাভ

আস সুন্নাহ হিজামা ও রুকইয়াহ সেন্টার – কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবার একটি বিশ্বস্ত কেন্দ্র।

আমরা নিম্নলিখিত উপায়ে সামগ্রিক সেবা প্রদান করি:

Icon

হিজামা (কাপিং থেরাপি)

ডিটক্স, ব্যথা উপশম এবং উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য

Icon

রুকইয়াহ শরিয়াহ

আধ্যাত্মিক আরোগ্য ও সুরক্ষার জন্য

Icon

ইসলামী জীবনধারার পরামর্শ

সুন্নাহর নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য।

আমাদের সেবা
আমরা দিচ্ছি সুন্নাহভিত্তিক হিজামা, শরঈ রুকইয়াহ এবং প্রাকৃতিক থেরাপি—যার মাধ্যমে শরীর ও আত্মার পূর্ণাঙ্গ সুস্থতার যত্ন নেওয়া হয়।
আমাদের লক্ষ্য
আমরা বিশ্বাস করি—শারীরিক সুস্থতা আর আধ্যাত্মিক প্রশান্তি দুটোই জীবনের অপরিহার্য অংশ। তাই আমরা সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও আধুনিক পেশাদার সেবাকে একত্রিত করে আপনাকে দিচ্ছি একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান।
আমাদের স্বপ্ন হলো, প্রতিটি মানুষ যেন সহজে, প্রাকৃতিকভাবে এবং সুন্নাহর আলোকে সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারে।

200+

সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট

দুই লাখেরও বেশি ক্লায়েন্ট হিজামা, রুকইয়াহ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক থেরাপি নিয়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন।

15+

বিশেষজ্ঞ থেরাপিস্ট

আমাদের প্রতিষ্ঠানে ইসলামী প্রাকৃতিক আরোগ্য সেবায় প্রশিক্ষিত ও স্বীকৃত ১৫ জনেরও বেশি অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট আছেন, যারা নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করে থাকেন।

100+

সাপ্তাহিক সেশন

আমরা প্রতি সপ্তাহে ১০০-এরও বেশি থেরাপি সেশন পরিচালনা করি। এর মধ্যে রয়েছে হিজামা, রুকইয়াহ এবং বিভিন্ন ওয়েলনেস প্যাকেজ, যা শরীর ও মনের সার্বিক সুস্থতায় সহায়ক।

05+

মোট সেবা

আমরা ১০টিরও বেশি অনন্য সেবা প্রদান করি, যার মধ্যে রয়েছে হিজামা, রুকইয়াহ এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক থেরাপি, যা স্বাস্থ্য ও সুস্থতা উন্নত করে।

আমাদের সেবা

আমাদের সেবাসমূহ দেখুন

Hijama (Cupping Therapy)
Icon

হিজামা (কাপিং থেরাপি)

হিজামা হলো একটি প্রাচীন সুন্নাহভিত্তিক চিকিৎসা, যেখানে শরীর থেকে জমে থাকা দূষিত রক্ত ও টক্সিন বের করে দেওয়া হয়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, ব্যথা কমে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া হিজামা মানসিক প্রশান্তি অর্জনেও সহায়তা করে। আমাদের সেন্টারে প্রশিক্ষিত ও সার্টিফাইড থেরাপিস্টরা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদভাবে হিজামা সেবা প্রদান করে থাকেন।

Ruqyah (Spiritual Healing)
Icon

রুকইয়াহ (আধ্যাত্মিক আরোগ্য)

রুকইয়াহ হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীর ও আত্মার রোগ নিরাময়ে কোরআনের আয়াত ও প্রামাণিক দোয়া ব্যবহার করা হয়। আমাদের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞরা আগে সমস্যার ধরন বোঝেন, এরপর আল্লাহর বাণীর মাধ্যমে রুকইয়াহ প্রয়োগ করেন। আলহামদুলিল্লাহ, এই চিকিৎসা জ্বিনের প্রভাব, জাদু (সিহর), হিংসা (হাসাদ) এবং মানসিক অশান্তি দূর করতে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

Ruqyah Diagnosis
Icon

রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস

আমাদের রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস সেবা ব্যক্তিগত সমস্যাগুলো সনাক্ত করে এবং প্রতিটি ক্লায়েন্টের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক থেরাপির পরামর্শ দেয়। এটি মানসিক শান্তি প্রদান করে, নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করে।

আমাদের সেরা থেরাপিস্ট

সেরা থেরাপিস্টদের সাথে পরিচিত হন

Team

মোঃ জোহায়ের

প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, হিজামা ও রুকইয়া কনসালট্যান্ট
Team

খালেদ মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ

সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও রাকি
Team

বিন ইয়ামিন

অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকি
Team

আব্দুর রহমান

অ্যাসিস্ট্যান্ট রাকি
Team

আব্দুল মজিদ খান্ডকার

হিজামা থেরাপিস্ট
Team

মোস্ত. সুমাইয়া আক্তার

হিজামা থেরাপিস্ট
কেন আমাদের বেছে নেবেন

কেন আমাদের ইসলামিক হেলথ ও থেরাপি সেন্টার বেছে নেবেন

Icon

বিশ্বস্ত ও অভিজ্ঞ রাকি

আমাদের রাকি প্রশিক্ষিত ও অত্যন্ত অভিজ্ঞ, যা নিশ্চিত করে যে রোগীরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রুকইয়া ও হিজামা সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

Icon

সুন্নাহ-ভিত্তিক পেশাদার আরোগ্য

আমরা কঠোরভাবে কোরআনিক দিকনির্দেশনা ও প্রামাণিক সুন্নাহ পদ্ধতি অনুসরণ করি, যাতে শারীরিক ও আত্মিক সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

Icon

১০,০০০+ মানুষকে সফলভাবে সেবা প্রদান

আমরা ১০,০০০+ মানুষেরকে সফলভাবে সহায়তা করেছি, যা আমাদের অভিজ্ঞতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।

Icon

নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ

আমাদের সেন্টার একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রদান করে, যেখানে রোগীরা চাপ বা ভয়ের বাইরে সেবা গ্রহণ করতে পারেন।

Icon

শারীরিক ও আত্মিক সমন্বিত সহায়তা

আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শারীরিক ও আত্মিক উভয় দিক সমাধান করি, যাতে সমন্বিত আরোগ্য ও মানসিক শান্তি নিশ্চিত হয়।

মতামত

আমাদের মূল্যবান ক্লায়েন্টদের অভিজ্ঞতা শুনুন

Avatar

তানজিনা আক্তার, নরসিংদী

রুকইয়াহ ক্লায়েন্ট

"অনেক কবিরাজ দেখিয়েছি, বহু তাবিজ ব্যবহার করেছি, শত শত জিন আছে, বোতলে ভরেছে, করিবাজ মেরেছে—লক্ষ লক্ষ টাকা নষ্ট করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। আস সুন্নাহ রুকইয়া সেন্টারে রুকইয়া শুরু করার পর ৫টি সেশনেই আমি ধীরে ধীরে মুক্তি পেয়েছি। এখন ঘুম, মন এবং দৈনন্দিন জীবন সবই স্বাভাবিক ও শান্ত। সত্যিই আশার আলো পেয়েছি।"

Avatar

রাশেদ ও রাশিদা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

রুকইয়াহ ক্লায়েন্ট

"ভাই-বোন দুইজন একসাথে রুকইয়া করিয়েছে। ছেলেটি বেকার, রিযিকে বাধা, অলস ও ক্লান্তি সব মিলিয়ে জীবন ব্যর্থ মনে হচ্ছিল। বদ নজরের কারণে বিয়ে হচ্ছিল না। রুকইয়ার ৫টি সেশন শেষে ভাই-বোন দুজনই স্বাস্থ্য, শক্তি এবং মনোবল ফিরে পেয়েছে। জীবনে স্বস্তি এসেছে, এখন তারা স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করছে।"

Avatar

মোশারফ হোসেন, কুমিল্লা

হিজামা ক্লায়েন্ট

"আমি দীর্ঘদিন ধরে পিএল আইডি (PLID) সমস্যায় ভুগছিলাম। কাজ করতে ও ঘুমাতে অনেক অসুবিধা হত। আস সুন্নাহ হিজামা সেন্টারে ৪টি সেশন নেওয়ার পর ব্যথা অনেক কমেছে এবং শরীরও হালকা লাগছে। এখন কাজ ও দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিকভাবে করতে পারছি।"

Avatar

সাফিয়া রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হিজামা ক্লায়েন্ট

"আমি অল্প বয়সী এবং এলার্জি ও ব্রণের সমস্যায় ভুগছিলাম। ত্বকই সবসময় লাল ও জ্বালা করতো। হিজামার ৩টি সেশন নেওয়ার পর ত্বকে স্পষ্ট স্বস্তি অনুভব করেছি। ব্রণ কমেছে, ত্বক স্বাস্থ্যবান হয়েছে, এবং আত্মবিশ্বাসও ফিরে এসেছে।"

Avatar

নাজমুল ইসলাম, হবিগঞ্জ

হিজামা ক্লায়েন্ট

"জয়েন্টের ব্যথা এবং যৌবনী দূর্বলতায় আমি খুবই কষ্টে ছিলাম। হিজামা সেশন শুরু করার পর ব্যথা কমে গিয়েছে, শরীর শক্তিশালী হয়ে এসেছে এবং দৈনন্দিন কাজগুলো করতে সুবিধা হচ্ছে। আস সুন্নাহ হিজামা সেন্টারের যত্ন ও পদ্ধতি সত্যিই প্রফেশনাল।"

Avatar

হাসিবুল ইসলাম, ফেনী

রুকইয়াহ ক্লায়েন্ট

"আমার সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল, অপ্রয়োজনীয় ঝগড়া এবং অবিশ্বাসের সমস্যা চলছিল। ডাক্তার দেখিয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। পরীক্ষা করালে বোঝা গেল, সিহরুত তাফরিকে সমস্যার কারণে এমন সমস্যা হচ্ছে। আস সুন্নাহ রুকইয়া সেন্টারে রুকইয়া করানোর পর ৫টি সেশনেই সম্পর্ক স্থিতিশীল হয়ে এসেছে, শান্তি ফিরে এসেছে।"

প্রশ্নোত্তর

হিজামা সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্নোত্তর

এখানে আপনি হিজামা সম্পর্কিত যেকোনো প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন। আরও জানতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

আস-সুন্নাহ একটি ইসলামিক হেলথ ও থেরাপি সেন্টার। এখানে আমরা হিজামা, রুকইয়াহ এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইসলামের নির্দেশনা মেনে, আধুনিক স্বাস্থ্যচর্চার সাথে মিল রেখে আপনাকে নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা দেওয়া। আমরা চাই, আপনি শুধু রোগমুক্তই নন, বরং প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনযাপন করুন—সুন্নাহর আলোকে।

হিজামা একটি সুন্নাহভিত্তিক থেরাপি যেখানে বিশেষ কাপ ব্যবহার করে শরীরের জমে থাকা ও দূষিত রক্ত বের করা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, ব্যথা উপশম করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

হিজামার আগে অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তবে সামান্য পরিমাণে পানি পান করা যেতে পারে। সেশনের দিনে অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়া এবং কষ্টকর শারীরিক কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।

হিজামা মাথাব্যথা, কোমর ও জয়েন্টের ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, অ্যালার্জি, স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস (সহায়ক থেরাপি হিসেবে), মানসিক চাপ, অনিদ্রা এবং আরও অনেক সমস্যায় উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।

আমাদের সেন্টারে হিজামা সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ও একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ ব্যবহার করে। অভিজ্ঞ ও সার্টিফায়েড থেরাপিস্টরা চিকিৎসা প্রদান করেন।

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হিজরি মাসের ১৭, ১৯ এবং ২১ তারিখে হিজামা করার সুপারিশ করা হয়। তবে চিকিৎসাগত প্রয়োজনে যেকোনো সময় হিজামা করা যেতে পারে।

আমাদের সেন্টারে খরচ নির্ভর করে চিকিৎসার ধরণের উপর। প্রথমে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রভাবিত পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়, তারপর সেই অনুযায়ী খরচ নির্ধারণ করা হয়। আমরা নির্দিষ্ট প্যাকেজও প্রদান করি।

গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম অনুসরণ করি। রোগীদের অন্তত ১ দিন আগে বুক করতে হয়। ফোনে বা ওয়েবসাইটের অনলাইন বুকিং ফর্ম পূরণের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়।

সেশনের আগে ৩–৪ ঘণ্টা খাবার খাবেন না, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীর যেন বেশি ক্লান্ত বা ঘেমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন।

২৪ ঘণ্টা ভারী কাজ বা ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, অন্তত ২–৩ ঘণ্টা গোসল করবেন না, হালকা ও সুষম খাবার খান এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।

গুরুতর হৃদরোগী (ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া), রক্তক্ষরণজনিত রোগী, অত্যন্ত দুর্বল বা অপুষ্ট রোগী, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে, এবং জ্বর, সংক্রমণ বা অস্ত্রোপচারের পরপরই হিজামা এড়ানো উচিত।

সাধারণত সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১–৩ মাস অন্তর হিজামা করা যেতে পারে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে, এবং থেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

হিজামা সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ, তবে কেবলমাত্র অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের মাধ্যমে শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনা করে করা উচিত।

ত্বকে হালকা লালচে ভাব বা সাকশন দাগ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে চলে যায়। সঠিকভাবে করা হলে হিজামার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।