সাধারণ জিজ্ঞাসা
হিজামা একটি সুন্নাহভিত্তিক থেরাপি যেখানে বিশেষ কাপ ব্যবহার করে শরীরের জমে থাকা ও দূষিত রক্ত বের করা হয়। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, ব্যথা উপশম করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
হিজামার আগে অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। তবে সামান্য পরিমাণে পানি পান করা যেতে পারে। সেশনের দিনে অতিরিক্ত ভারী খাবার খাওয়া এবং কষ্টকর শারীরিক কাজ থেকে বিরত থাকাই ভালো।
হিজামা মাথাব্যথা, কোমর ও জয়েন্টের ব্যথা, মাংসপেশির ব্যথা, অ্যালার্জি, স্নায়বিক সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস (সহায়ক থেরাপি হিসেবে), মানসিক চাপ, অনিদ্রা এবং আরও অনেক সমস্যায় উপকারী প্রমাণিত হয়েছে।
আমাদের সেন্টারে হিজামা সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে করা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জীবাণুমুক্ত যন্ত্রপাতি ও একবার ব্যবহারযোগ্য কাপ ব্যবহার করে। অভিজ্ঞ ও সার্টিফায়েড থেরাপিস্টরা চিকিৎসা প্রদান করেন।
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে হিজরি মাসের ১৭, ১৯ এবং ২১ তারিখে হিজামা করার সুপারিশ করা হয়। তবে চিকিৎসাগত প্রয়োজনে যেকোনো সময় হিজামা করা যেতে পারে।
আমাদের সেন্টারে খরচ নির্ভর করে চিকিৎসার ধরণের উপর। প্রথমে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রভাবিত পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়, তারপর সেই অনুযায়ী খরচ নির্ধারণ করা হয়। আমরা নির্দিষ্ট প্যাকেজও প্রদান করি।
গুণগত মান নিশ্চিত করতে আমরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম অনুসরণ করি। রোগীদের অন্তত ১ দিন আগে বুক করতে হয়। ফোনে বা ওয়েবসাইটের অনলাইন বুকিং ফর্ম পূরণের মাধ্যমে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া যায়।
সেশনের আগে ৩–৪ ঘণ্টা খাবার খাবেন না, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং শরীর যেন বেশি ক্লান্ত বা ঘেমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
২৪ ঘণ্টা ভারী কাজ বা ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন, অন্তত ২–৩ ঘণ্টা গোসল করবেন না, হালকা ও সুষম খাবার খান এবং যথেষ্ট বিশ্রাম নিন।
গুরুতর হৃদরোগী (ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া), রক্তক্ষরণজনিত রোগী, অত্যন্ত দুর্বল বা অপুষ্ট রোগী, গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে, এবং জ্বর, সংক্রমণ বা অস্ত্রোপচারের পরপরই হিজামা এড়ানো উচিত।
সাধারণত সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১–৩ মাস অন্তর হিজামা করা যেতে পারে। তবে এটি ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে, এবং থেরাপিস্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।
হিজামা সাধারণত শিশুদের জন্য নিরাপদ, তবে কেবলমাত্র অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের মাধ্যমে শিশুর বয়স ও স্বাস্থ্য বিবেচনা করে করা উচিত।
ত্বকে হালকা লালচে ভাব বা সাকশন দাগ দেখা দিতে পারে, যা সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে চলে যায়। সঠিকভাবে করা হলে হিজামার কোনো গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না।